শেফালির ‘হার্ডওয়্যার’ ভালো থাকলেও ‘সফটওয়্যার’ ছিল দুর্বল: বাবা রামদেব

লালসবুজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ০২:১৫ পিএম

‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত বলিউড অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালার অকাল মৃত্যু নিয়ে যখন নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে, তখনই যোগগুরু বাবা রামদেব বিষয়টি নিয়ে ব্যতিক্রমী মন্তব্য করলেন। তার মতে, শেফালির মৃত্যু একটি বড় শিক্ষা—যেখানে মানুষ বাহ্যিক সৌন্দর্য বা শরীরের যত্ন নিলেও, মানসিক ও অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিচ্ছে না।

রামদেব বলেন, “শেফালির ‘হার্ডওয়্যার’ ভালো থাকলেও ‘সফটওয়্যার’ দুর্বল ছিল। মানে শরীরের বাহ্যিক দিক সুস্থ মনে হলেও তার ভেতরের ভারসাম্য ছিল না। মানুষ আজ এমন জীবনযাপন করছে, যেখানে সে তার মস্তিষ্ক, চোখ ও হজমতন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত চাপ দিচ্ছে। ফলে গড় আয়ুর আগেই মৃত্যুর মুখে পড়ছে অনেকে।”

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শেফালির মৃত্যুর পেছনে রয়েছে রক্তচাপ দ্রুত কমে যাওয়ার ঘটনা, যা তার হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়। এই রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়ার পেছনে গ্লুটাথিয়ন নামের এক রাসায়নিক উপাদানকে দায়ী করা হচ্ছে, যা সাধারণত বয়স প্রতিরোধী ওষুধে ব্যবহার করা হয়। এমনকি শেফালির বাসা থেকেও এই ধরনের অ্যান্টি-এজিং মেডিসিনের দুটি বাক্স উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এই প্রসঙ্গে বিতর্ক এড়িয়ে রামদেব আরও বলেন, “মানুষের প্রকৃত গড় আয়ু ১০০ নয়, ১৫০ থেকে ২০০ বছর হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা ২৫ বছরেই এমনভাবে খাই, ভাবি, চলাফেরা করি—যেটা এক শতাব্দীতে ধীরে ধীরে করা দরকার।”

বর্তমানে ৬০ বছর বয়সী এই যোগগুরু দাবি করেন, শুধুমাত্র সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারণ পদ্ধতির কারণেই তিনি এখনো সুস্থ আছেন। তার মতে, প্রকৃত সুস্থতা মানে শুধু বাহ্যিক রূপে ফিট থাকা নয়, বরং ভেতরের মন, চিন্তা, হজমশক্তি এবং মানসিক প্রশান্তিও গুরুত্বপূর্ণ।

রামদেব বলেন, “ভেতর থেকে শক্ত না হলে বাইরে থেকে সুস্থ থাকার কোনো মানে নেই। সুস্থতার জন্য চাই আত্মতুষ্টি, পরিমিত জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং ইতিবাচক মানসিকতা।”