তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ পাবেন নাগরিকরা

লালসবুজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:০১ পিএম

নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার এক মাস আগে যাদের বয়স ১৮ বছর সম্পূর্ণ হবে তারাও ভোটার হতে পারবেন। এমনই এক অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে কেবিনেট। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) উপদেষ্টা পরিষদে খসড়াটি অনুমোদন দেয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।

এ সময় ফয়েজ আহম্মদ বলেন, ‘বিদ্যমান যে ব্যবস্থা, তাতে বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে যেসব ব্যক্তি ভোটার হওয়ার উপযোগী—যারা শুধুমাত্র ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার আগের বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বয়স ১৮ বছর হয়,তারা সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। প্রতি বছর ২ জানুয়ারি এ খসড়া তালিকা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করে এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। তাহলে দেখা যায়, পরবর্তী সময়ে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেটি অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে যেসব নাগরিক ১৮ বছর বয়সে পৌঁছান, তারা ওই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না। তারা এ তালিকা থেকে বাদ পড়ে যান। তাদেরকে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য আবার অপেক্ষা করতে হয়। এই বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন মনে করে— নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত রাখতে হয়, সেক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণার আগে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে যারা ভোটার হবার উপযোগী হন, তাদেরকে ভোটার তালিকায় নিয়ে আসা’।

তিনি আরও বলেন, ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুমোদন হওয়ায়-নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার অন্তত এক মাস আগ পর্যন্ত যেসব ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর হবেন,তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।

এছাড়াও সভায় প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। এতে করে অঙ্গ দানের ক্ষেত্রে দাতার পরিধি বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এর ফলে কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ দেশে আরও সহজ হবে। আন্তর্জাতিক আইন মেনে এটি করা হয়েছে। এছাড়া মৃত্যুর পর মরদেহ থেকে কীভাবে অঙ্গ সংগ্রহ করা যাবে এবং কীভাবে প্রতিস্থাপন করা যাবে, সে বিষয়েও বলা হয়েছে অধ্যাদেশে।

এদিকে, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সংশোধন)অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান,গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি পুরো ঘটনা তদন্ত করবে। ঘটনা কেন হলো, কীভাবে মৃত্যুগুলো হলো-সব বিষয় দেখবে তদন্ত কমিটি। সহিংসতা কারা করলো সেটিও দেখা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।