‘উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম কোথায় সংরক্ষণ করছে ইরান’

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বর্তমানে কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা পরিষ্কারভাবে জানা সম্ভব হচ্ছে না—এমন মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার ( আইএইএ) সাবেক উপপরিচালক (সেফগার্ডস) অলি হেইনোনেন।
ব্রিটিশ রেডিও চ্যানেল বিবিসি রেডিও ফোর-এর ‘টুডে’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ইসরায়েল সম্ভবত ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করেছে। বিশেষ করে নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনাটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, সেটি পুনরুদ্ধার করতে ‘কমপক্ষে কয়েক বছর সময় লাগবে।’
ফোর্দো স্থাপনাও একই ধরনের অবস্থা ভোগ করছে বলে হেইনোনেন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ফোর্দোও ইসরায়েলের বোমা হামলার পর খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে।’
তবে হেইনোনেন মনে করেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো—ইরান তাদের ৪০০ কিলোগ্রামেরও বেশি উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত কোথায় রেখেছে? তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি ইরানের কোথাও গোপন একটি পরমাণু স্থাপনা থাকে আর তারা সেখানে গোপনে অস্ত্রের উপযোগী মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যেখানে আইএইএ’র কোনো পর্যবেক্ষণ নেই, তাহলে সেটা একটি ভয়ংকর সংকটের ইঙ্গিত। তা খুব বড় হওয়ারও দরকার নেই।’
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের এই হামলা কেবল ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে ধ্বংসের কারণ হয়নি, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে নিরাপত্তা শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। এখন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের চোখ ইরানের প্রতিক্রিয়া এবং পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।