প্রথমবার বিদেশ সফরে কিমকন্যা, বেইজিংয়ে তার উপস্থিতি কী বার্তা দিচ্ছে?

লালসবুজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২৬ পিএম

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সম্প্রতি চীনের রাজধানী বেইজিং সফর করেছেন, যেখানে তাকে স্বাগত জানান চীনা কর্মকর্তারা। তবে এই সফরের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিলো তার সঙ্গে থাকা এক কিশোরী— ধারণা করা হচ্ছে কিশোরীটি কিমের মেয়ে কিম জু অ্যা। এই সফরে কালো পোশাক, মাথায় ফিতে, ভদ্র হাঁটার ভঙ্গিমায় কিশোরীটির উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। খবর সিএনএন এর।

২০২২ সালে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে প্রথমবার জনসমক্ষে আসেন কিম জু অ্যা। এরপর থেকে সামরিক কুচকাওয়াজ, মহড়া ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গেছে, বিশেষত যেখানে কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেন।

বেইজিং সফর ছিল তার প্রথম আন্তর্জাতিক প্রকাশ্য উপস্থিতি, যেখানে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মতো নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি কিম জু অ্যাকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করার একটি পদক্ষেপ হতে পারে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে তাকে “প্রিয়” এবং “সম্মানিত” কন্যা বলা হচ্ছে, যা তার বিশেষ মর্যাদার ইঙ্গিত দেয়। যদিও অনেকে মনে করেন কিমের অন্য সন্তানরাই উত্তরাধিকারীর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন, তথাপি কিম জু অ্যার নিয়মিত প্রকাশ্য উপস্থিতি তাকে ভবিষ্যৎ নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করে।

অন্যদিকে কিছু বিশ্লেষক এটিকে কেবল একটি জনসংযোগ কৌশল হিসেবেও দেখছেন—যেখানে কিম নিজেকে একটি পারিবারিক, মানবিক নেতারূপে উপস্থাপন করতে চাইছেন।

২০১৩ সালে মার্কিন বাস্কেটবল তারকা ডেনিস রডম্যান কিম জু অ্যার অস্তিত্ব প্রথম প্রকাশ করেন, যেহেতু তার উপস্থিতি গোপন রাখা আর সম্ভব নয়, তাই তাকেই কেন্দ্র করে একটি ‘পরিবার-ভিত্তিক’ প্রচার চালানো সহজ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে উত্তর কোরিয়ার পুরুষপ্রধান শাসনব্যবস্থায় একজন নারী উত্তরাধিকারী কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তারপরও কিম জু অ্যার বেইজিং সফর উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব, রাজতান্ত্রিক ধারা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন ইঙ্গিতবাহী অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।