লালসবুজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২০ পিএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের দুই দিন পরও ক্যাম্পাস এবং ২ নম্বর গেট এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ২ নম্বর গেটের আশেপাশের ভাড়া বাড়ি এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে অবস্থান করছেন। শিক্ষার্থীরা দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই নম্বর গেট এলাকায় কিছু দোকান খোলা থাকলেও মানুষের চলাচল অত্যন্ত সীমিত রয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সেখানে সেনাবাহিনী ও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অবস্থান করছেন এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন।
অফিসগুলো খোলা থাকলেও সব ক্লাস পরিক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার সব ক্লাস পরিক্ষা বন্ধ থাকবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এছাড়া, ২ নম্বর গেটের আশেপাশে থাকা শিক্ষার্থীদের নিরাপদ বাসস্থানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো উন্মুক্ত রাখা হবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচও বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।
হামলার ঘটনায় সোমবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি জোবরা এলাকায় থাকা লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার করার উদ্যোগ নেয়া হবে। দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও জোবরা-ফতেপুর এলাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের জন্য ২১ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির দায়িত্বে থাকবেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ দুপুর ১টায় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে।
দর্শন বিভাগ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নাঈম আহমেদ বলেন, “স্থানীয়দের হামলার পর আমরা যারা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকি আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আমি এখন হলে একজন সিনিয়র ভাইয়ের রুমে অবস্থান করছি। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত সমস্যার সমাধান করুন।”
অর্থনীতি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের তাহসিফ হোসেন বলেন, “আমাদের বাসার মালিক বাসার দরজা তালাবদ্ধ করে আমাদের প্রবেশ বন্ধ করেছে। যখন আমরা বাসার সামনে গিয়েছিলাম, স্থানীয়রা এমনভাবে তাকাচ্ছিল যেন আমরা আক্রান্ত হতে পারি। আমরা যারা ২ নম্বর গেটের আশেপাশে থাকি আমরা সত্যিই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এখন ফরহাদ হলে অবস্থান করছি।”
চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কালাম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার। শিক্ষার্থীরা যাতে আগের পরিবেশ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরে পাই সেজন্য ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এটার মিটিং আজকে দুপুর ১ টায় অনুষ্ঠিত হবে।