লালসবুজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
নতুন করে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনের জন্য দ্রুত আইন সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইসিএএ)। একইসঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের হাতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানানো হয়। সম্প্রতি নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত বিইসিএএর আহ্বায়ক কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও ইসি উপসচিব মো. মনির হোসেন।
মূল প্রস্তাব: পৃথক সার্ভিস গঠন ও আইনি ভিত্তি
বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে ৫ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন। কিন্তু এখনো ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ নামে কোনো আলাদা প্রশাসনিক কাঠামো নেই। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুসারে, ২০০৯ সালের নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন সংশোধন করে এই সার্ভিস গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত খসড়া আইন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ইসির সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়োগের জন্য পৃথক সার্ভিস চালু করা হবে। সেই সার্ভিস গঠনের আগ পর্যন্ত বিধি অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া যাবে।
ইসি কর্মকর্তাদের দাবিগুলো হলো–
১. নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে “নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫” দ্রুত জারি করে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান।
২. পদসৃজন, আপগ্রেডেশন ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিকসহ প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম অনুমোদন।
৩. জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন–২০২৩ বাতিল করে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের নিকট হস্তান্তর।
৪. অ্যাসোসিয়েশনের যৌক্তিক প্রস্তাব বাস্তবায়নে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন ভবনে মাননীয় কমিশনের উপস্থিতিতে জরুরি সাধারণ সভা আয়োজনের লক্ষ্যে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় জুম প্ল্যাটফর্মে সভা আহ্বান।
৫. উপজেলা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি ও কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ।
সংসদ নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে ইসি। আর তাদের সহায়ক হিসেবে কাজ করেন ইসি কর্মকর্তারা। তবে উপ-নির্বাচনগুলোতে নিজস্ব কর্মকর্তাদের দায়িত্বটি দেওয়া হয়। এখন থেকে তারা সাধারণ নির্বাচনেও দায়িত্বটি নিতে চান।