লালসবুজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
ঋতুপর্ণা চাকমার অনিন্দ্য জোড়া গোলে স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। বাছাইপর্বে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়ে প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে আফঈদারা। যে লক্ষ্য নিয়ে উড়াল দিয়েছিল মিয়ানমারের উদ্দেশে, সে লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় আনন্দে ভাসছেন ফুটবলারসহ কোচিং স্টাফরা। তবে ঋতুপর্ণাদের স্বপ্নযাত্রা এখানেই শেষ হোক, তা নিশ্চয়ই কেউ চাইবেন না। দলের সামনে যে এখন আরও বড় হাতছানি! এশিয়ান কাপে ভালো করলে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের টিকিটও মিলতে পারে ঋতুপর্ণাদের।
২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চূড়ান্ত পর্ব কাজ করবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব হিসেবেও। এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে চার দল করে তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ১২টি দল। এই গ্রুপ পর্ব শেষে তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল ও তৃতীয় হওয়া সেরা দুটি দল উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে। এরপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
এশিয়া থেকে সরাসরি ৬ দল খেলবে বিশ্বকাপে, দুটো দল আন্তমহাদেশীয় প্লে অফ জিতেও সুযোগ পেতে পারে। এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে খেলা ৪ দল সরাসরিই খেলবে ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপে। আর কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়া ৪ দল খেলবে দুটো প্লে অফ ম্যাচ। জিতলে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে, আর হেরে যাওয়া দুই দল খেলবে আন্তমহাদেশীয় প্লে অফে।
এদিকে, ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের বাছাইপর্ব হিসেবেও কাজ করবে এই এশিয়ান কাপ। কোনোভাবে গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পেরিয়ে যেতে পারলেই মিলবে অলিম্পিকে খেলার সুযোগ। এশিয়ান কাপে নাম লেখাতেই এসব সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে কোচ পিটার বাটলারের শিষ্যদের সামনে। নিশ্চয়ই সে সুযোগটা দুহাতেই লুফে নিতে চাইবেন ঋতুপর্ণারা!
‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে প্রথম দল হিসেবে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বের টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এই সম্ভাবনার দুয়ার ভারত আর নেপালের সামনেও খুলে যেতে পারে। ‘বি’ গ্রুপ থেকে ভারত শেষ ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারাতে পারলেই চলে যাবে এশিয়ান কাপে। এদিকে ‘এফ’ গ্রুপ থেকে নেপালের সমীকরণটাও একই। সেটা বাস্তবায়িত হলে সাফ অঞ্চল থেকে ৩টি দল খেলতে পারবে এশিয়ান কাপে। তাদের সবার সামনে সুযোগ থাকবে বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকে জায়গা করে নেয়ারও।