কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি সংঘটিত হামলার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র' (RAW)-এর হাত রয়েছে—এমন বিস্ফোরক দাবি তুলেছে পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম।

টেলিগ্রামে ফাঁস হওয়া একটি কথিত ‘গোপন নথির’ সূত্র ধরে তারা এ দাবি করছে। যদিও নথিটির সত্যতা এখনও স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি, তবে ইতোমধ্যে বিষয়টি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত দৈনিক পাকিস্তান টাইমস-এর দাবি অনুযায়ী, নথিটিতে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে হামলাটিকে 'অমুসলিম জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে চালানো জঙ্গি হামলা' হিসেবে তুলে ধরার। একইসঙ্গে আইএসআই এবং পাকিস্তানকে জড়িয়ে সামাজিক মাধ্যমে ‘প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর’ পরিকল্পনার কথাও রয়েছে ওই তথাকথিত ফাঁস হওয়া নথিতে।

এছাড়া সেখানে ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রভাবিত প্রচার চালানোর কৌশল নিয়েও উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের মিডিয়া।

এই অভিযোগ সামনে আসার মধ্যেই কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া চালিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবারের ওই মহড়ায় অংশ নেয় সাঁজোয়া যান, কামান ও সর্বাধুনিক রণসরঞ্জাম। পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, “ভারতের যেকোনো সামরিক দুঃসাহসের জবাব শক্ত হাতে দেওয়া হবে।”

অন্যদিকে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তার ভাষায়, “যারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত, তাদের খুঁজে বের করতেই হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”

চলমান উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকাও লক্ষণীয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এমনকি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন।